ইমাম হওয়ার শর্ত
ইমাম হওয়ার শর্ত
|
যে ব্যক্তি হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ)-কে প্রতিশ্রুত মসীহ্ এবং ইমাম মাহদী বলে বিশ্বাস করে না, তার পিছনে নামায পড়া আল্লাহ্ কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে। কেননা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) ইমামকে মানার জন্যে বিশেষভাবে তাগিদ করেছেন। অতএব এরূপ ব্যক্তি যুগের ইমামকে না মানার কারণে আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের অবাধ্য হয়েছে।
নামাযে রুকূ, সিজদা ইত্যাদির তাৎপর্য
|
(যুগ-ইমাম হযরত মসীহ মাওউদ (আঃ)-এর বক্তব্যের আলোকে)
"নামায ওঠা বসার নাম নয়। নামাযের সারবস্তু ও আত্মা হ'ল দোয়া যা নিজের মাঝে এক প্রকার স্বাদ ও আনন্দ সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে আরকানে নামায (অর্থাৎ দাঁড়ানো, রুকূ, সিজদা ইত্যাদি) আদব দেখানোর পদ্ধতি র্আকানে নামায আধ্যাত্মিক ওঠা-বসাস্বরূপ। মানুষকে আল্লাহ্তা'আলার দরবারে দন্ডায়মান হতে হয়। আর দাঁড়ানোও সেবকগণ কর্তৃক (প্রভুকে) সম্মান দেখানোর একটি পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।
রুকূ এর দ্বিতীয় অংশ। এ ব্যক্ত করে যে, আদেশ পালনের প্রস্তুতি হিসেবে যেন মাথাকে ঝুঁকিয়ে দেয়া হয়েছে আর সিজদা হলো চূড়ান্ত সম্মান ও পরম বিনয় এবং অস্তিত্ব বিলুপ্তির পরিচায়ক। ইবাদতের আসল উদ্দেশ্যে এ আদব ও পদ্ধতি খোদাতা'আলা স্মারকচিহ্ন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। দেহকে আধ্যাত্মিক পদ্ধতির মাঝে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার খাতিরে এগুলোকে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকারান্তরে অভ্যন্তরীণ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার খাতিরে এক বাহ্যিক পদ্ধতিও রেখে দেয়া হয়েছে। এখন যদি বাহ্যিক পদ্ধতিতে (যা অভ্যন্তরীণ ও আধ্যাত্মিক পদ্ধতির এক প্রতিবিম্ব) কেবল বানরের মত অনুকরণ করা হয় এবং একে যদি এক বড় বোঝা মনে করে বাইরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তুমিই বলো, 'এর মাঝে কি স্বাদ ও আনন্দ লাভ হতে পারে? আর যখন পর্যন্ত স্বাদ ও আনন্দ না লাগে ততক্ষণ এর তাৎপর্য লাভের অধিকারী কীভাবে হবে? যখন আত্মাও সম্পূর্ণ বিলীন ও বিনত হয়ে ঐশী দরগাহে পতিত হয় এবং নামাযী যে কথা বলে তার আত্মাও যেন সঙ্গে সঙ্গে তা বলতে থাকে- সেই সময়ে এক সুখ ও জ্যোতিঃ এবং স্বস্তি লাভ হয়" (মলফূযাত, প্রথম খন্ড : ১৬৪-১৬৫ পৃঃ)।
"স্মরণ রেখো, নামাযে নামাযীর অবস্থা আর তার বক্তব্য উভয়ই একীভূত হওয়া জরুরী। কখনও কখনও সংবাদ চিত্রের আকারে দেখানো হয়ে থাকে। এমন চিত্র দেখানো হয় যে, যদ্বারা দর্শকের এ উপলব্ধি হয় যে, তার ইচ্ছা এরূপ। নামাযের মাঝেও ঐশী আকাঙ্ক্ষার চিত্র এরূপ। নামাযের মাঝে যেভাবে জিহ্বা দ্বারা কিছু পাঠ করা হয় সেভাবেও অঙ্গ-প্রতঙ্গের সঞ্চালনেও কিছু দেখিয়েও দেয়া হয়। যখন মানুষ দন্ডায়মান হয় এবং
(আল্লাহ্তা'আলার) প্রশংসা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে সে অবস্থার নাম রাখা হয়েছে কিয়াম (দন্ডায়মান হওয়া)। এখন সব মানুষই অবগত আছে যে, প্রশংসা ও গুণকীর্তনের যথার্থ অবস্থা কিয়াম-ই। বাদশাহের সামনে যখন তার গুণকীর্তন করতে যাওয়া হয় তখন তো তা দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করতে হয়। তাই একদিকে বাহ্যিকভাবে কিয়ামকে রাখা হয়েছে অন্য দিকে মৌখিকভাবে প্রশংসা ও গুণকীর্তনও রাখা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য এটাই যেন আধ্যাত্মিকভাবেও আল্লাহ্তা'আলার সামনে দন্ডায়মান হয়। প্রশংসা কোন এক কথার উপর ভিত্তি করা হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি যদি সত্যবাদী হয়ে কারও প্রশংসা করে তাহলে সে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে যায়। সে ব্যক্তি যে আল্হামদুলিল্লাহ্ (অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র) বলে তাঁর জন্যে এটা আবশ্যক হয় যে, সে যথার্থভাবে তখনই আলহামদুলিল্লাহ্ বলতে পারে যখন তার পরিপূর্ণভাবে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে ও প্রতীতি হয় যে, সকল প্রকারের প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্তা'আলার। যখন স্বস্তির সাথে অন্তরে এ কথা সৃষ্টি হবে তখন এটাই আধ্যাত্মিক কিয়াম। কেননা, অন্তর এর উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আবার এটা উপলব্ধি করে যে, সে দন্ডায়মান রয়েছে। অবস্থা অনুযায়ী দন্ডায়মান হয়ে গেছে যেন আধ্যাত্মিক কিয়ামের সৌভাগ্য লাভ হয়।
এ রূপে রুকূর মাঝে সুব্হানা রব্বিয়াল আযীম (পবিত্র আমার প্রভু অতি মহান) পাঠ করা হয়। নীতিগত কথা এই যে, যখন কারও মহত্ত্ব মেনে নেয়া হয় তখন তার প্রতি বিনত হওয়া জরুরী। মহত্ত্বের চাহিদা এই যে, তার উদ্দেশ্যে যেন রুকূ করা হয় অর্থাৎ বিনত হয়। অতএব মুখ দিয়ে বলা হলো- 'সুব্হানা রাব্বিয়াল আযীম' এবং কার্যতঃ রুকূ করে বিনত হয়ে দেখানো হলো অর্থাৎ এটা কথার সাথে কাজেও দেখানো হলো। এরূপে তৃতীয় কথা 'সুব্হানা রাব্বিয়াল 'আলা (পবিত্র আমার প্রভু অতি উচ্চ) 'আলা' হলো 'উলার তফযীল (অর্থাৎ সর্বাধিক অর্থে বুঝানো)। এর প্রত্যাশা হলো সিজদা। এজন্যে এর সাথে কার্যতঃ চিত্র হলো সিজদায় নিপতিত হওয়া। এ স্বীকৃতির যথার্থ অবস্থা হলো তাৎক্ষণিকভাবে বিলীন হওয়া।
একথার সাথে ৩টি শারীরিক অবস্থা সম্পৃক্ত। এক চিত্র এর আগে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক প্রকারের কিয়ামের কথা বলা হয়েছে। জিহ্বা শরীরের একটি অঙ্গ, সে-ও বললো। আর সে-ও এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তৃতীয় জিনিষ অন্যটি। যদি তা অংশ না নেয় তাহলে নামায হয় না। কী? উহা অন্তর বা মন। এর জন্যে আবশ্যক যে, অন্তরেরও কিয়াম হোক। আর আল্লাহ্তা'আলা তার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দেখেন যে, প্রকৃতই সে প্রশংসাও করছে এবং দন্ডায়মানও হয়েছে এবং তার অন্তরও দন্ডায়মান হয়ে প্রশংসা করছে। কেবল দেহই নয় মনও দন্ডায়মান আছে। আর যখন 'সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম' বলে তখন যেন লক্ষ্য করে যে, কেবল এতটুকুই নয় যে, মহত্ত্বের স্বীকৃতি দিচ্ছে বরং সাথে সাথে বিনতও হচ্ছে এবং সাথে সাথে অন্তর বিনত হয়ে গেছে। এভাবে তৃতীয় দৃশ্য খোদার সামনে সিজ্দায় পতিত হওয়া। তাঁর উচ্চ মর্যাদা সম্মুখে রেখে এর সাথেই দেখবে যে, ঐশী দরগাহে আত্মাও পড়ে আছে। সোজা কথা যতক্ষণ এ অবস্থার সৃষ্টি না হয় তখন স্বস্তি আসে না। কেননা 'ইউকিমুনাস সালাতা' তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে-এর অর্থ এটাই (মলফূযাত : ১ম খন্ড, ৪৩৩-৪৩৫ পৃঃ)।
"নামাযের মাঝে যতগুলো দৈহিক বিভিন্ন অবস্থাদি রয়েছে এ সবের সাথে অন্তরও যেন সেভাবে অনুকরণ করে। যদিও শারীরিকভাবে দন্ডায়মান হও তাহলে মনকেও খোদার আনুগত্যের জন্যে দন্ডায়মান করো। যদি বিনত হও তো অন্তরকে সেভাবে বিনত করো। যদি সিজ্দা করো তাহলে মনকেও সেভাবে সিজ্দা করা উচিত। মনের সিজ্দা হলো এই, যে কোন অবস্থায় খোদাকে যেন ছেড়ে দেয়া না হয়। যখন এরূপ অবস্থা হবে তখন পাপ দূরে সরে যেতে শুরু করবে (মলফূযাত : ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৭৬ পৃষ্ঠা)।
"খোদাতা'আলা আত্মা ও দেহের সাথে একটি নিবিড় সম্পর্ক রেখে দিয়েছেন। আর দেহের প্রভাব সর্বদাই আত্মার উপরে পড়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন ব্যক্তি ভান করে কাঁদতে চায় তাহলে অবশেষে তার কান্না এসেই যাবে। এবং এরূপভাবেই যে ভান করে হাসতে চায় অবশেষে তার হাসি পেয়েই যায়। এভাবে নামাযের মাঝে দেহের উপরে যেসব অবস্থার সৃষ্টি হয় যেমন, দন্ডায়মান হওয়া বা রুকূ করা, এর সাথে মনের উপরও প্রভাব সৃষ্টি হয়। দেহের মাঝে যতটুকু শ্রদ্ধা-ভক্তির অবস্থা প্রদর্শন করে ততটুকু আত্মায়ও সৃষ্টি হয়। যদি খোদা নিজের তরফ থেকে সিজদা কবুল না করেন তথাপি সিজ্দার সাথে আত্মার একটি সম্পর্ক আছে। এজন্যে নামাযের মাঝে শেষ পর্যায়ে সিজ্দাকে রাখা হয়েছে যখন মানুষ শ্রদ্ধা-ভক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন সে সিজ্দাই করতে আকঙ্ক্ষা করে। পশুদের মাঝেও এ অবস্থার লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। কুকুরও যখন তার প্রভুকে আদর করে তখন এসে তার পায়ের উপর নিজের মাথা রেখে দেয় এবং তার ভালবাসার সম্পর্কের প্রকাশ সিজদার আকারে করতে থাকে। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে, দেহের সাথে আত্মার একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এভাবেই মনের অবস্থাসমূহের প্রভাব শরীরের ওপর প্রতিফলিত হয়ে যায়। যখন মন বিনীত হয় তখন দেহের ওপরে তার প্রভাব ছেয়ে যায় এবং অশ্রু ও বিমর্ষ অবস্থা প্রকাশ পায়। যদি দেহ ও মনের মাঝে সম্পর্ক না হয় তাহলে এরূপ কেন হয়? রক্তকে প্রবাহমান রাখাও হৃদপিন্ডের একটি কাজ। কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, হৃদপিন্ড শরীরে পানি সিঞ্চনের জন্যে একটি ইঞ্জিনস্বরূপ। এর সম্প্রসারণ ও সংকোচনে সব কিছু হয়ে থাকে।
মোট কথা, দেহ ও মন উভয়েরই কার্য পাশাপাশি চলছে। মনের মাঝে যখন বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়ে যায়, তখন দেহের মাঝেও তা সৃষ্টি হয়। এজন্যে যখন মনে প্রকৃতই বিনয় ও শ্রদ্ধা ভক্তির অবস্থা সৃষ্টি হয় তখন শরীরে এর প্রভাব স্বতঃই সৃষ্টি হয়ে যায়। আর এভাবেই শরীরের ওপরে একটি পৃথক প্রভাব পড়ে আর মন এতে প্রভাবাম্বিত হয়ে যায়। এজন্যে জরুরী যে, যখন নামাযের জন্যে খোদার সকাশে দন্ডায়মান হও তখন অবশ্যই নিজের অস্তিত্বে বিনয় ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করো। যদিও এ সময়ে এটা এক প্রকার কপটতাস্বরূপ। কিন্তু আস্তে আস্তে এর প্রভাব স্থায়ী হয়ে যায় আর প্রকৃতই মনে সেই শ্রদ্ধা-ভক্তি ও আত্মবিলীনতার গুণ সৃষ্টি হতে থাকে " (মলফূযাত : চতুর্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ৪২১-৪২২)
"আর এ বিষয় সম্বন্ধে আমি প্রথমে বর্ণনা করেছি কিয়াম, রুকূ ও সিজ্দা প্রসঙ্গে এতে মানবিক অনুনয় বিনয়ের আকৃতি ও নক্শা দেখানো হয়েছে। প্রথমে কিয়াম করা হয়। যখন এতে উন্নতি লাভ হয়, তখন রুকূ করা হয় আর যখন পুরোপুরি বিলীনতার ভাব সৃষ্টি হয় তখন সিজ্দায় পতিত হয়ে যায়। আমি যা কিছু বলি তা অন্ধ অনুকরণ বা আচরণ হিসাবে বলি না বরং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি। বরং প্রত্যেকেই একে এভাবে পড়ে এবং পরীক্ষা করে দেখতে পারে। এ ব্যবস্থাকে সর্বদা স্মরণ রাখো আর এ থেকে উপকৃত হও যে, যখন কোন দুঃখ বা দুর্দশায় পতিত হও তখন তখনই নামাযে দন্ডায়মান হয়ে যাও এবং যে দুর্দশা ও কষ্টে পতিত হয়েছো তা সবিস্তারে আল্লাহ্র সমীপে নিবেদন করো। কেননা, অবশ্যই খোদা আছেন আর তিনিই একমাত্র অস্তিত্ব যিনি মানবকে প্রত্যেক প্রকারের কষ্ট ও দুর্দশা থেকে বের করতে পারেন। তিনি নিবেদনকারীর নিবেদন শোনেন। তিনি ছাড়া আর কেউ সাহায্যকারী হতে পারে না। লোক বড়ই দুর্বল, যখন সে দুর্দশায় পতিত হয়, সে উকিল, চিকিৎসক অথবা অন্যান্য লোকদের প্রতি মনোযোগ দেয়। কিন্তু খোদাতা'আলার নিকট মোটেও যায় না। মু'মিন সে, যে সর্বপ্রথম খোদাতা'আলার নিকট দ্রুত গমন করে" (মলফূযাতঃ ৯ম খন্ড, পৃঃ-১১৩১)।
নামাযের ওয়াক্ত বা সময়
|
দিনে পাঁচবার নামায পড়া ফরয। এ পাঁচবার নামাযের ওয়াক্ত বা সময় হচ্ছেঃ
ফজর : ভোরের আলো প্রকাশের শুরু হতে সূর্য ওঠার পূর্ব পর্যন্ত।
যুহর : দুপুরে সূর্য হেলে যাবার পর তৃতীয় প্রহরের পূর্ব পর্যন্ত।
আসর : তৃতীয় প্রহর হতে পশ্চিম আকাশ লাল বর্ণ ধারণ করার আগে তথা সূর্য-ডোবার পূর্ব পর্যন্ত।
মাগরিব : সূর্য অস্ত যাবার পর থেকে পশ্চিমাকাশে লালিমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
ইশা : সূর্য ডোবার এক বা সোয়া ঘন্টা পর অর্থাৎ রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার পর থেকে মধ্যরাত্রির পূর্ব পর্যন্ত।
মেরু অঞ্চলে যেখানে দিন বা রাত্রি অনেক দীর্ঘ হয়ে সেখানে সময় অনুমান করে ঘড়ির সময়ানুসারে নামায, রোযা, ইত্যাদি পালন করতে হবে।
নোট :
৮ প্রহরে দিন সুতরাং প্রহর বলতে আমরা বুঝবো ৩ ঘন্টা।
যে
সকল ওয়াক্তে নামায পড়া নিষেধ
|
ক) সূর্য ওঠার সময়,
খ) সূর্য ডোবার সময়,
গ) ঠিক দ্বি-প্রহরের সময়,
ঘ) আসরের নামায পড়ার পর সূর্য ডোবা পর্যন্ত,
ঙ) ফজরের নামাযের পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত,
চ) তন্দ্রা বা ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় নামায নিষিদ্ধ। এরূপ অবস্থায় প্রথমে ঘুমিয়ে নিতে হয়। ঘুম হতে উঠে পরে নামায পড়তে হয়।
No comments