ক্যারিয়ারের ৫ মন্ত্র!

ক্যারিয়ারের ৫ মন্ত্র!

ছেলেবেলা থেকেই সবাই স্বপ্ন দেখে ভালো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে। স্বপ্নের চাকরি পেতে সবাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়ালেখাও করে। স্বপ্নের চাকরিটা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যায় সবাই। তবে স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে না অনেকেই। আর তার পেছনে থাকে কিছু সীমাবদ্ধতা। এসব সীমাবদ্ধতাই ২৫-২৫ বছরের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেয় না। ভালো ক্যারিয়ার গড়তে এমন অনেক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার ৫টি উপাদান তুলে ধরা হলো।

১. ইতিবাচক মনোভাব
আমরা সবাই জানি নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও মনোভাব সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তেও ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই। সত্যিকার অর্থে প্রতিটি কাজেই ইতিবাচক মনোভাবের প্রাধান্য রয়েছে। আমি অথবা আপনি এটা ভালো করেই জানি 'উপদেশ দেওয়া সহজ, পালন করা কঠিন'। সেই সাথে আমরা এও জানি ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা উগ্রতা, দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। তাই যত ঝড়-ঝাপটাই আসুক না কেন, ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে হবে সর্বদা।

২. নিজেকে জানুন
ভালো বেতনের চাকরিতে প্রাধান্য দেয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে ভালো বেতনের বাইরেও চাকরিতে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি অনেক বেশি ঈর্ষণীয় এবং কাঙ্ক্ষিত হতে পারে। তাই আগে নিজেকে জানতে হবে কোন পেশার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যাবে। অন্যরা কে কী করছে সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনের তৃপ্ততাই সাফল্যের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সে জন্য দরকার নিজেকে জানা।

৩. চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ
প্রত্যেকেরই উচিত অবসর সময়ে নিজের পছন্দমতো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে নিজেকে তৈরি করা। নিজের যোগ্যতা এবং চাহিদা মিলিয়ে নির্ধারণ করতে হবে কোন পথে ক্যারিয়ার গড়া যায়। এরপর শুরু হবে সেসব চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া। যেমন, আপনি যদি ব্যাংকে চাকরি করতে চান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ালেখার সময় থেকেই ব্যাংকের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। আবার আপনি হয়ত এমন কোনো চাকরি করতে চান যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার আবশ্যিক। সেক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের কাজটি না করলে কিন্তু চলবে না।

৪. ব্যক্তিত্ব নিরূপণ
দক্ষতা ও আগ্রহের পাশাপশি কর্মক্ষেত্রে নিজেকে কতটা সফল হিসেবে দেখতে চান, তা নির্ধারণ করতে হবে। এর জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব নিরূপণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিত্ব নিরূপণে বিভিন্ন ধরনের নৈর্বক্তিক প্রশ্নমূলক টেস্ট পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে যাচাই করে নিন নিজের ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তাকে। মায়ারস ব্রিগস টাইপ ইন্ডিকেটর (এমবিটিআই) নামের পরীক্ষা এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী একটি পরীক্ষা।

৫. নমনীয়তা
উগ্রতা মানুষের সবচেয়ে ক্ষতিকর গুণগুলোর একটি। এটি সবসময়ই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এটি তাই কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই উগ্রতাকে পরিহার করে নমনীয়তাকে ধারণ করতে হবে নিজের মধ্যে। সাফল্যে এটিও অত্যন্ত সহায়ক।


No comments

Powered by Blogger.