আমাদের সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার সমূহ

আমাদের সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার সমূহ
আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা রীতিমত হাস্যকরও বটে। কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী । অশিক্ষিত কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আপনাদের নিকট যদি কিছু থাকে তবে মন্তবের ঘরে সংযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। কিছু কিছু বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী।
 
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা পাবে।
 
কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
 
আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
 
একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
 
ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
 
কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
 
কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
 
কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
 
কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
 
খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়।
 
খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
 
খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
 
গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
 
গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
 
গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
 
ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
 
ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
 
ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
 
ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে তাহলে জ্বর হবে।
 
ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
 
চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।
 
ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।”
 
ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে।
 
জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
 
ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
 
তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
 
তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
 
দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
 
দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
 
দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।”
 
দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
 
দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
 
নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
 
নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
 
নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
 
নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
 
নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
 
নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
 
নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
 
নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
 
পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয় আসবে।
 
পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
 
পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
 
পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
 
পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
 
পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
 
ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
 
বাচুর এর গলায় জুতার টুকরা জুলালে কারো কু দৃস্টি থেকে বাচা জায়।
 
বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
 
বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়।
 
বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে

No comments

Powered by Blogger.